সন্তান জন্মদানের পর বাবা মাকে অনেক সচেতন থাকতে হয়। সন্তান জন্মদানের আগে নিজের প্রতি এবং পরিবারের প্রতি অতোটা যত্নশীল না হলেও চালিয়ে নেওয়া যায় কিন্তু সন্তান জন্মদানের পর নিজের প্রতি এবং সন্তানের প্রতি অনেক যত্নশীল হতে হয়। সন্তানের প্রতি অনেক দায়িত্ব থাকে।

তাকে সুষ্ঠুভাবে বড় করে তোলা সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। আপনার কোন অভ্যাসটির কারণে সন্তানের ক্ষতি হচ্ছে অথবা সন্তান কষ্ট পাচ্ছে সে অভ্যাসগুলোর ব্যাপারে আপনার ভাবা উচিত।

১। ধূমপান

বাবা মায়ের সবচেয়ে নেতিবাচক যেসব অভ্যাস রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ধূমপান অন্যতম। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি শুধু ধূমপায়ীদের জন্য ক্ষতিকর তা নয়, আশেপাশের সকল ব্যক্তির জন্য ক্ষতিকর। ধূমপান করলে নিউমোনিয়া জনিত সমস্যা হয়। এমনকি লিভার ও কিডনিতে নানা ধরনের সমস্যাসহ লিভার সিরোসিস এবং ক্যান্সারও হতে পারে।

২। অ্যালকোহল

সন্তানের সুস্থতার জন্য এবং সুন্দরভাবে সন্তানকে বেড়ে তোলার জন্য অ্যালকোহল পানের অভ্যাস আজ থেকে ত্যাগ করুন। যদিও সামাজিকভাবে সামান্য অ্যালকোহল গ্রহণ করা দোষের কিছু নয়, তবুও সন্তানের সামনে তা না পান করা উত্তম। কারণ সন্তান আপনাকে দেখে শিখবে। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। তারা সবচেয়ে বেশি অনুসরণ ও অনুকরণ করে বাবা মাকে।

৩। ড্রাগস

ধূমপান, অ্যালকোহল পান করার মতো ড্রাগস নেওয়া অত্যন্ত নেতিবাচক অভ্যাস। ড্রাগস অতিশয় খারাপ অভ্যাস। আপনি যদি সন্তানের সামনে ড্রাগস নেন তাহলে আপনার কাছে সন্তান কি শিখবে? ড্রাগস যারা নেয় তারা মানসিকভাবে খুব খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যায়। তারা অন্যদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি দেয়, অন্যের গায়ে হাত তোলে এবং ঘরে অশান্তি সৃষ্টি করে।

৪। শিশুর গায়ে হাত তোলা

আপনার যদি শিশুর গায়ে হাত তোলার অভ্যাস থাকে তাহলে আজ থেকে তা দূর করুন। শিশুর গায়ে হাত তুললে শিশু মানসিকভাবে আঘাত পাবে এবং সে আপনাকে সর্বদা ভয় পাবে।

৫। টেলিভিশন দেখা

আপনার সন্তানকে কিছু সীমাবদ্ধতা বেঁধে দেওয়ার আগে আপনি আপনার অভ্যাস ত্যাগ করুন। অনেকেই আছেন যারা সন্তানকে টেলিভিশন দেখার মধ্যে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে তারা নিজেরাই সারাদিন বসে টেলিভিশন দেখে। আপনি যদি সারাদিন টেলিভিশন দেখেন তাহলে আপনার সন্তানের মধ্যেও এ প্রবণতা দেখা দেবে।

৬। অতিরিক্ত চেঁচামেচি

অভিভাবকদের একটি বড় অভ্যাস হলো তারা সন্তানদের সাথে অতিরিক্ত রাগারাগি ও চেঁচামেচি করে। অতিরিক্ত রাগারাগি কখনো সমাধান বয়ে আনতে পারে না। এগুলো শিশুর জন্য ক্ষতিকর। শিশুরা প্রচণ্ড আবেগী। তারা অতিরিক্ত রাগারাগি দেখে ভয় পেয়ে যায়। চেঁচামেচির পরিবর্তে আপনি সন্তানকে বুঝিয়ে বলুন কোথায় তার ভুল হচ্ছে, আপনি তার কাছে কী প্রত্যাশা করেন। নয়তো আপনার সন্তান হতাশায় ভুগবে, অনিরাপত্তায় ভুগবে।

৭। অন্যের নামে সমালোচনা

অনেকগুলো নেতিবাচক অভ্যাসের মধ্যে একটি হলো অন্যের নামে সমালোচনা করা। অনেক অভিভাবকের অভ্যাস অন্যদের দিয়ে সমালোচনা, অন্যের দোষ ধরা ইত্যাদি। এগুলো সন্তানের সামনে করলে সন্তানও সেগুলো শিখবে।

৮। নিরুৎসাহিত করা

ভালো কাজের জন্য সন্তানকে প্রশংসা করলে, উৎসাহিত করলে সন্তান যেমন আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় তেমনি শিশুর কোনো কাজকে অবমূল্যায়ন করলে, নিরুৎসাহিত করলে সন্তানের আত্মবিশ্বাস ভেঙ্গে যায়। তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার জন্য অবমুল্যায়ন করা যথেষ্ট।

#তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।