বিদ্যালয়গামী শিশুদের সারাদিনের খাবার ৫ ভাগে ভাগ করে খাওয়াতে হবে যাতে তার শরীরে শক্তির পরিমাণ ঠিক থাকে এবং শিশু কর্মচঞ্চল ও স্বতঃস্ফূর্ত থাকে। এতে পরিবারের বাড়তি কোন খরচের প্রয়োজন নেই। শিশুকে ঘরে তৈরি খাবার থেকেই বিদ্যালয়ের জন্য টিফিন দেবেন। শিশুর হাতে টাকা দিয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে অভ্যস্ত করবেন না। প্রভাতী শাখার শিশুদের জন্য সকাল ১০-১১ টার নাস্তা থেকে টিফিন দেওয়া যেতে পারে এবং দিবা শাখার শিশুদের জন্য বিকালের ফল থেকে টিফিন দেওয়া যেতে পারে। ছোট বড় সকলের শরীর ভালো রাখতে হলে সবাইকে সুষম খাবার খেতে হবে। সুষম খাবার সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। তাই খাদ্যের ছয়টি উপাদান সমৃদ্ধ মিশ্র খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা উচিত।

বিদ্যালয়গামী শিশুদের খাবারের তালিকায় সুষম খাবার রাখছেন তো??

বিদ্যালয়গামী শিশুদের খাবারের তালিকায় সুষম খাবার রাখছেন তো??

লৌহস্বল্পতার কারনে শিশুর জ্ঞান বিকাশ বাধা গ্রস্ত হয়। শিশুর জ্ঞান বিকাশ বাধা গ্রস্ত হলে শিশু অল্প বুদ্ধিসম্পন্ন হয়। রক্তস্বল্পতা মুখে ও ঠোঁটের কোনায় ঘা কমাতে হলে বেশি করে শাক পাতা, কচুশাক, কলমি শাক, পুঁইশাক ইত্যাদি এবং আমলকি পেয়ারা, আমড়া, কামরাঙ্গা , কিসমিস ও গুড়া খাওয়ান। লৌহ সমৃদ্ধ খাবার ভিটামিন সি জাতীয় খাবারের সাথে খেলে লৌহ সমৃদ্ধ খাবার পরিশোধন ভালো হয়। যেমন ডাল এর সাথে লেবুর রস খেলে।

খভিটামিন “এ” রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও শিশু মৃত্যুর হার কমায়। আপনার শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও শিশুকে রাতকানা রোগ ও শিশু মৃত্যু থেকে বাঁচাতে চান? তাহলে মাছ, কলিজা, রঙিন ফল, গাজর, পাকা আম, পাকা পেঁপে,কাঁঠাল, ইত্যাদি এবং গাড় রঙিন শাকসবজি তেল দিয়ে রান্না করে খাওয়ান। ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা সহ অন্যান্য চোখের ওসুখ এবং অন্ধত্ব হয়। এছাড়াও ডায়রিয়া হাম নিউমোনিয়া এবং রোগ দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল হয়।

শরীরে আয়োডিন লোহার ঘাটতি থাকলে শিশুর মেধা ও বুদ্ধি বিকাশে সমস্যা দেখা দেয়।

আয়োডিনযুক্ত লবণ মস্তিষ্কের বৃদ্ধিতে সহায়ক, ইহা শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা রোধ করে এবং এতে লেখাপড়ার মান ভালো হয়। তাই প্রতিদিনই আয়োডিনযুক্ত লবণ খান।

শিশুদের খাবার যথাসম্ভব সহজপ্রাপ্য খাবার এবং মৌসুমী ও টাটকা দেশীয় ফলমূল শাক সবজি দিয়ে তৈরি করা উচিত।

শিশুদের বাইরে খোলা উন্মুক্ত স্থানে খেলাধুলা করা খুবই জরুরী। এতে করে শরীরে সূর্য রশ্মি প্রবেশ করে। যা শরীরে ভিটামিন ডি উৎপাদনে সহায়ক হয়।

কৃমি শিশুদের ওপুষ্টির একটি প্রধান কারণ। এ থেকে রেহাই পেতে হলে শিশুকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার ধারণা দিন এবং প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর পরিবারের সবাই একই দিনে কৃমির ঔষধ খান। প্রতিদিন মৌসুমী তাজা ফল ও শাকসবজি খান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান। শিশুর শরীর তাড়াতাড়ি বাড়ে। কাজেই তাদের আমিষ, শর্করা ও স্নেহ জাতীয় খাবার বেশি করে দিন। সস্তায় আমিষ পেতে হলে সিমের বিচি, ডাল, বাদাম, ছোট মাছ, কাঁঠালের বিচি ইত্যাদি খাওয়ান।কম খরচে শক্তির জন্য ভাতের পরিমাণ কমিয়ে আটার রুটি, আলু মিষ্টি, আলু বেশি করে খাওয়ান।

আমলকি, পেয়ারা, আমড়া, কমলা, আপেল, বেদানা ও আঙ্গুর বেশি পুষ্টিকর।

সারাদিন ১৮০০-১৯৬০ কিলোক্যালরি দিতে হবে।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।