একজন শিশু কতক্ষণ পড়ায় মনোযোগ দিতে পারে? এটি বের করতে শিশুর বয়সের সাথে ৩ গুণ করতে হবে। শিশুর বয়স যদি ৪ বছর হয়ে থাকে তাহলে ৪x৩=১২ মিনিট। শিশুর বয়স যদি ৬ বছর হয়ে থাকে তাহলে ৬x৩=১৮ থেকে ২০ মিনিট পড়ায় মনোযোগ দিতে পারবে। এরপর তাকে একটু অবসর দিতে হবে। তার সাথে গল্প করা যেতে পারে খেলা করা যেতে পারে। এখন আর সেই নানী দাদীদের ঠাকুরমার ঝুলির গল্প নেই। সেই মজার গল্পগুলো কোথায় যেন হারিয়ে গেল। 

একজন মনোবিজ্ঞানী বলছিলেন- ৪ বছরের একটি বাচ্চাকে মা নিয়ে এসেছেন। তার বাচ্চা বেশিক্ষণ পড়ায় মনোযোগ দেয় না এবং বইয়ের দিকে তাকিয়ে পড়তে চায় না। তিনি বললেন, এই বাচ্চা ১০ থেকে ১২ মিনিটের বেশি পড়ায় মনোযোগ দেবার কথা নয় এবং সেই বাচ্চা বাংলা ও ইংরেজি সমস্ত অক্ষর চেনে। এই বাচ্চার কাছ থেকে এর চেয়ে আর বেশি কি আশা করা যেতে পারে। তাহলে অসুস্থ কি বাচ্চা নাকি আমরা? 

বাচ্চার মোবাইল আসক্তি থেকে রেহাই পেতে বাচ্চাকে বেশি করে সঙ্গ দিন। তার সাথে খেলা করুন। আউটডোর অথবা ইনডোর গেমসের ব্যবস্থা করে দিন। শিশুর খেলনা নির্বাচন করুন সৃজনশীলধর্মী। 

শিশুর উপহার হিসেবে বইকে বেছে নিন। শিশু বয়স থেকেই শিক্ষামূলক বইয়ের পাশাপাশি গল্পের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে পড়ার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। 

ছবি আঁকার মাধ্যমে নিজস্ব চিন্তা শক্তি বৃদ্ধি পায় প্রকৃতির সাথে আলাদা মেলবন্ধন তৈরী হয়। শিল্প চর্চার মাধ্যমে শিশুদের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। রঙগুলো চিন্তে শিখে। একজন চিত্রশিল্পী প্রকৃতিকে যেভাবে দেখে আমরা সেভাবে দেখতে পারি না। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকা জরুরি। 

সংগীত মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। সুখে-দুঃখে সংগীত আমাদের মনোরঞ্জন করে। পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা করাতে হবে।